লিবিয়ার সরকারকে অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব
![](http://www.europentv.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/05/17/photo-1463459202.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, জাতিসংঘ সমর্থিত লিবিয়ার সরকারকে অস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তে পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা একমত হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে লড়তেই দেশটিকে এ অস্ত্র দেওয়া হবে। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় এক ভাষণে জন কেরি এ কথা বলেন।
বিবিসি জানায়, দেশের অধিকাংশ শহর আইএস দখল করে নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে লিবিয়া সরকার। গত মাসের এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়। এর পরপরই লিবিয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি জাতিসংঘের আলোচনায় ওঠে।
জন কেরি ভিয়েনার ভাষণে বলেন, আইএস লিবিয়ায় নতুন শঙ্কা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এদের পরাজিত করতেই লিবিয়া সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে।
বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জন কেরি বলেন, লিবিয়ার মধ্যবর্তী সরকার গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ডই (জিএনএ) দেশটিকে এক রাখতে পারে। এর মাধ্যমেই লিবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব। এ জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে।
বিবিসি জানায়, লিবিয়ায় অস্ত্র দেওয়ার আগে দেশটির ওপর থেকে জাতিসংঘের অস্ত্র সরবরাহের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। লিবিয়া সরকারকে জানানো হয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই তুলে নেওয়া হবে।
জানা গেছে, লিবিয়ায় এখনো বিভিন্ন আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠী দেখা যায়। দক্ষিণ লিবিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠী দেশটির নতুন কেন্দ্রীয় সরকারকে তেমন সমর্থন দেয়নি। তাই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন সরকারের নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো সংশয় আছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, জাতিসংঘের দেওয়া অস্ত্র ভুল হাতে পড়তে পারে। এতে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা আরো তীব্র হবে।