হায়দরাবাদকে হারিয়ে বেঙ্গালুরুর মধুর প্রতিশোধ

Looks like you've blocked notifications!
হায়দরাবাদ-বেঙ্গালুরু ম্যাচের দৃশ্য। ছবি : বিসিসিআই

চলতি আসিরে দুদলের মুখোমুখি প্রথম দেখায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে বিশাল লজ্জা দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সে ম্যাচে ২৮৭ রান তুলেছিল হায়দরাবাদ। যা আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। সেই লজ্জা হয়তো ফিরিয়ে দিতে পারেনি আরসিবি, তবে দিনের একমাত্র ম্যাচে তাই বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিলেন বিরাট কোহলি-ফাফ ডু প্লেসিসরা। হায়দরাবাদকে তাদেরই ঘরের মাঠে ৩৫ রানে হারিয়েছে আরসিবি। 

রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করে আরসিবি। জবাবে ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানে থামে হায়দরাবাদ।

এবারের আসরে চারটি ২০০ ছাড়ানো এবংতিনটি আড়াইশ ছাড়ানো ইনিংস খেলা হায়দরাবাদের জন্য ২০৬ রান খুব বেশি হওয়ার কথা ছিল। তার ওপর চেনা মাঠ। অথচ সেখানেই খেই হারাল দলটি। প্রথশ ওভারেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ট্রাভিস হেডকে হারায় হায়দরাবাদ। তাকে ফেরান উইল জ্যাকস। তবে, অপর ওপেনার অভিষেক শর্মা ঝড়ই তুলেছিলেন। ১৩ বলে ৩১ রান করেন। তার সম্ভাবনায় ইনিংসটি থামান যশ দয়াল।

এরপর খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেননি কেউ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। ৪০ রানে অপরাজিত থাকা শাহবাজ আহমেদ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, ৩৭ বলের মন্থর ইনিংসটি বরং দলের চাপ বাড়িয়েছে। যে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্যাট কামিন্স। ১৫ বলে ৩১ রান করে ক্যামেরন গ্রিনের বলে আউট হলে হায়দরাবাদ আর ব্যবধান ঘোচাতে পারেনি। হারতে হয় ম্যাচটি। 

আরসিবির পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন গ্রিন, স্বপ্নীল সিং ও কর্ণ শর্মা।

এর আগে আগে ব্যাটিংয়ে নামা আরসিবির ওপেনিংয়ে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস ও বিরাট কোহলি মিলে ভালো রান জমা করেন। এই জুটিতে ২৩ বলে ৪৮ রান আসে। ১২ বলে ২৫ রান করে নটরাজের বলে আউট হন ডু প্লেসিস। ওয়ানডাউনে নামা উইল জ্যাকস ভালো করতে পারেননি। ছয় রান করে বোল্ড হন মায়াঙ্ক মারকান্দের বলে।

ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন রজত পাতিদার। জয়দেব উনাদকাতের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২০ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রজত। ২৫০ স্ট্রাইক রেটে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল দুটি চার ও পাঁচটি ছক্কায়। রজত ফিরে গেলেও একপ্রান্তে অটল ছিলেন বিরাট কোহলি। ধীরগতির হলেও ফিফটি তুলে নেন তিনি। ৪৩ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে উনাদকাতের বলে বিদায় নেন কোহলি। কোহলি ফিরে গেলে দলকে টেনে নেওয়া দায়িত্ব নেন ক্যামেরন গ্রিন। তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে অপরাজিত ৩৭ রান।

হায়দরাবাদের পক্ষে তিন উইকেট পান উনাদকাত। নটরাজ নেন দুই উইকেট।