লোকসান মূলধনের বেশি হলে প্রতিষ্ঠান জেড গ্রুপে
![](http://www.europentv.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/21/bsec.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বিতরণ করতে ব্যর্থ হলে ওই প্রতিষ্ঠানকে জেড গ্রুপে স্থানান্তর করতে পারবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই)। একই সাথে পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ছাড়িয়ে গেলে ওই কোম্পানিও যাবে জেড গ্রুপে। এমন বিধান করে এসব বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গতকাল সোমবার (২০ মে) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। যা আগামী ২ জুলাই থেকে এ নির্দেশ কার্যকর হবে। নতুন নিয়মানুযায়ী, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ছাড়া জেড গ্রুপের অন্য কোনো কোম্পানির উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকদের শেয়ার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। বিএসইসির অনুমতি ছাড়া তারা ওই কোম্পানির কোনো শেয়ার কিনতে, বেচতে বা হস্তান্তর করতে পারবেন না।
বিএসইসির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, দুর্বল কোম্পানিগুলোকে জেড গ্রুপে নিয়ে যাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) কর্তৃপক্ষ। এজন্য আলাদা করে বিএসইসির কোনো অনুমোদন নিতে হবে না। বর্তমান সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানিকে জেড শ্রেণিভুক্ত করতে হলে স্টক এক্সচেঞ্জকে বিএসইসির পূর্বানুমোদন নিতে হয়। বিএসইসির নতুন নির্দেশনার ফলে ডিএসইর কোনো বিধান লঙ্ঘনের জন্য কোনো কোম্পানিকে জেড গ্রুপে নিতে পারবে না স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। আগে কোনো কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তির কোনো বিধিবিধান লঙ্ঘন করলে সেই কোম্পানিকে জেড গ্রুপে নেওয়া যেতো। এখন স্টক এক্সচেঞ্জের সেই ক্ষমতা কমানো হলো।
বিএসইসির নির্দেশনায় বেশকিছু শর্ত উল্লেখ করা হয়, তার যেকোনো একটি শর্ত লঙ্ঘন করলে ডিএসই ও সিএসই ওই কোম্পানিকে জেড গ্রুপে স্থানান্তর করতে পারবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানি শেষ লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ থেকে বা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির তারিখ থেকে পরপর দুই বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলে জেড গ্রুপে স্থানান্তর করা হবে। পাশাপাশি আইনানুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হলেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কোনো রিট পিটিশন বা আদালতে বিচারাধীন কোনো আইনি প্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ এজিএম অনুষ্ঠিত না হওয়ার ক্ষেত্রে, অর্থাৎ উপবিচারের বিষয় বা জোরপূর্বক ঘটনা ঘটলে জেড গ্রুপে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছর সময় পর্যন্ত বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়া যদি তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংস্কার বা বিএমআরই (ভারসাম্য, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন এবং সম্প্রসারণ) এর জন্য এ ধরনের কোনো সময় ব্যতীত ন্যূনতম ছয় মাস ধরে একটানা উৎপাদনে না থাকলে জেড গ্রুপে স্থানান্তর করা হবে। এ ক্ষেত্রে (টি+৩) ভিত্তিতে জেড গ্রুপের শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তি হবে।