পেপটিক আলসারের রোগী কি রোজা রাখতে পারবেন?

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : ফ্রিপিক

রমজান মাস ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাস। এই মাসে সংযম পালনের পাশাপাশি অনেক সুস্থ মানুষও রোজা রাখেন। অনেক রোগীরা রোজা রাখতে আগ্রহী প্রকাশ করেন। কিন্তু রোজা রাখা উচিত কি না, তা বুঝতে পারেন না। কিছু লোক রোজা রাখার বিপক্ষে বলে যে, রোজা রাখলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যাবে; পেটে পেপটিক আলসার হবে। অনেকে অত্যাধিক মোটা, তারা ওজন কমানোর আশায় রোজা রাখতে বেশি আগ্রহী হন। কিন্তু যাঁরা রোগা, তাঁরা রোজা রাখার ব্যাপারে উৎসাহী না হয়ে হাজার ব্যাখ্যা দাঁড় করান। প্রকৃতপক্ষে রোজা নিয়ে মানুষের স্বাস্থ্য-ভাবনার শেষ নেই। রোজায় সাহ্‌রী, ইফতারি ও শারীরিক সুস্থতা নিয়ে মানুষের মনে এ সময়ে থাকে অনেক জিজ্ঞাসা। নিম্নে এ বিষয়ে কিছু উত্তর দেওয়া হলো :  

রোজা রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কি বাড়ে?

কিছুটা ঠিক বটে, বিশেষ করে যাঁরা রোজার বাইরে অসংযত জীবনযাপন করছেন, তাঁদের জন্য। রোজায় এক ধরনের শৃঙ্খলাবোধ কাজ করে। সময়মতো খাবার গ্রহণ, বিশ্রাম, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন প্রভৃতি বিষয় প্রকারান্তরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সহায়ক উপাদান হিসেবে ভূমিকা রাখে।

পেপটিক আলসারের রোগী কি রোজা রাখতে পারবেন?

হ্যাঁ, পারবেন। এ সময়ে খাবার-দাবারে নিয়মানুবর্তিতার সৃষ্টি হয় বলে রোজায় স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা দেখা দেয় না। তবে সাহ্‌রী ও ইফতারিতে তাঁদের বাছাই করা খাবার খেতে হবে। তৈলাক্ত খাবার পরিহার করে সহজপাচ্য খাবার খেলে এসিড নিঃসরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং স্বাস্থ্যগত কোনো অসুবিধা হবে না।

ডায়াবেটিসের রোগী কি রোজা রাখতে পারবেন?

এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখতে হবে। যাঁরা ইনসুলিন নিচ্ছেন, রোজা তাঁদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী এঁদের রোজা না রাখাই ভালো। তবে যাঁরা ইনসুলিন নিচ্ছেন না, তাঁরা রোজা রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রোজা রাখার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আপনার চিকিৎসাপত্র, খাবার ও ব্যায়ামের ব্যাপারটা ঠিক করে নেবেন। এ সময়ে দৈনন্দিন কাজ সীমিত হারে করতে হবে।

রোজা রাখলে হৃদরোগীদের কি কোনো অসুবিধা হবে?

সাধারণত অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া এ সময়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রণে রাখার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয় বলে তাঁদের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক থাকে।

রোজায় পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হওয়ার কি আশঙ্কা থাকে?

হ্যাঁ, থাকে। যদি আপনি সাহ্‌রী ও ইফতারে পর্যাপ্ত পানি না পান করেন। সাহ্‌রী ও ইফতারে পর্যাপ্ত পানির সঙ্গে শাকসবজি ও ফলমূল খাবেন। তাহলে পানিশূন্যতার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।