বিএনপি ও তারেক আতঙ্কে ওবায়দুল কাদেরের ঘুম ভেঙে যায় : সালাম

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘুমের মধ্যেও তারেক-বিএনপি, বিএনপি-তারেক করতে থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সালাম এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদেরের কঠোর সমালোচনা করে আবদুস সালাম বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়, তিনি বিএনপি বিষয়ক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। তারেক আর বিএনপি আতঙ্কে তার ঘুমও ভেঙে যায়।’

বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র নেই বলেই ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে- ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আব্দুস সালাম বলেন, ‘বিএনপিকে নিয়ে এমন বক্তব্য না দিয়ে আগে নিজের দলেরটা বলেন, হুমকি-ধমকি দেওয়ার পরও নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। আপনাদের দলেই গণতন্ত্র নেই।’

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে আবদুস সালাম বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনে আসার কথা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে গিয়ে কী করবে? নির্বাচিত হলে ক্ষমতায় বসতে পারে না, চেয়ারে বসতে গেলে বরাদ্দ দেন না। নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আপনারা তো জাতীয় নির্বাচন খেয়ে ফেলছেন, স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে কী করবেন। আগে নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি ও জনগণ।’

বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায় না জানিয়ে আব্দুস সালাম আরও বলেন, ‘নিরপেক্ষ একটা সরকার আসুক, প্রধানমন্ত্রীকে গদি থেকে নামান। এরপর রাস্তায় এসে দেখেন একজন রিকশাওয়ালাও ভোট দেয় কিনা। সাজানো নির্বাচন বন্ধ করুন। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর কতশত কোটি টাকা অবৈধ নির্বাচনে খরচ করেছেন তার হিসাব দিতে হবে।’ 

একটি গোষ্ঠী বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চায় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

পারভীন কাওসার মুন্নীর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ বক্তব্য দেন।