রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
ইউএনবিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া ছবি

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া দুই দেশ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউজে প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

‘এই বোঝার কারণে উভয় দেশই ভুগছে’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সমস্যা সমাধানে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের জন্য সমস্যা তৈরি করেছে। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দুই নেতা এই সম্পর্ক গভীর, সম্প্রসারিত ও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। 

মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা যদি আগ্রহ প্রকাশ করে, তবে বাংলাদেশ তাদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসামুক্ত প্রবেশ, জ্বালানি, পর্যটন ও কাস্টমস বিষয়ে সহযোগিতা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি সই হয়েছে।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।