অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন গোল্ডেন মনির

Looks like you've blocked notifications!
অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের ফাইল ছবি

রাজধানীর ভাটারা থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চলতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এই রায় দেন। তিনি আরও বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা সাপেক্ষে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। 

রায়ের পর্যবেক্ষনে আদালত বলেছেন, পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মনির ও তার স্ত্রীর নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র ছিল। তাই নিজের ও স্ত্রীর নামে দুটি বৈধ অস্ত্র থাকা অবস্থায় আরেকটি অবৈধ অস্ত্র ঘরে রাখার ঘটনা স্বাভাবিক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। আদালত আরও বলেছেন, ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় মনির হোসেনের বাড্ডার বাসার শয়নকক্ষে খাটের তোশকের নিচ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তবে, এতদিন রায়ের বিষয়টি গোপন রাখা হয়। মনিরের আইনজীবী দবির উদ্দিন বলেন, ‘রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, মনিরকে হয়রানির উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা করা হয়।’

নথি থেকে জানা গেছে, রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসায় ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, চার লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, আট লাখ টাকার বেশি মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা, ৬০০ ভরি স্বর্ণালংকার ও এক কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনসহ বাড্ডা থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেছিল র‍্যাব। ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি অস্ত্র ও মাদক মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক আব্দুল মালেক। ওই বছর ২৫ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাকে খালাস দেন। 

অপরদিকে, গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদ ও অপরাধলব্ধ আয়ের তথ্য-প্রমাণ পেয়ে ২০২২ সালের ১১ মে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। এ ছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।