ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ

Looks like you've blocked notifications!
ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন। ছবি : এনটিভি

নওগাঁয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসনের হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি’ নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে দুই ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহসভাপতি স্বপন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সহসভাপতি কাজী সাদেকুর রহমান, কার্যকরী পরিষদের সদস্য রায়হান শামীম, কাজী রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কয়েকদিন আগে ওষুধ ব্যবসায়ীর কোনো অপরাধ না থাকলেও ঔষধ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে। তারা ওষুধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানি মূলক নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান। তা না হলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, ওষুধ ব্যবসায়ীরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ বিক্রি করে থাকেন। বর্তমানে দেশে ওষুধ কোম্পানির সংখ্যা অনেক হওয়ায় প্রতিনিয়ত সেই কোম্পানিগুলো নতুন নতুন আইটেমের ওষুধ তৈরি করে বাজারজাত করছে। ওষুধ ব্যবসায়ীরা অনেক সময় কোম্পানির সে সব ওষুধ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকেন। যার ফলে ওষুধের গুণগত মান এবং অনুমোদন আছে কী-না অনেক ক্ষেত্রে তা বুঝে উঠতে পারেন না। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের পাশাপাশি কসমেটিকস প্রোডাক্টস যেমন : স্যানিটারি ন্যাপকিন, স্যাম্পু, সাবান, ফুডসাপ্লিমেন্টস, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, হারবাল ও ইমপোর্ট আইটেম নিয়মিত লিখে আসছেন। 

যেগুলোর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদন নেই। যার অনেক ব্যবস্থাপত্রের কপি ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক বরাবর উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু, ঔষধ প্রশাসন কোনো কোম্পানি বা চিকিৎসকদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি যৌন উত্তেজক ও অবৈধ ওষুধ বাজারজাত করছেন, যা আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা ওষুধ ব্যবসায়ীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এর প্রতিবাদে সব ওষুধের দোকান চার ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়।

এ প্রসঙ্গে নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন কোন আইন কোন অপরাধের জন্য করেছেন এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে অফিসিয়ালভাবে শেয়ার করেন নেই। আমরা জানতে পেরেছি যে, অনুমদনবিহীন মেডিসিন রাখায় ঔষধ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এর বেশি কিছু জানি না।’

জেলায় ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় রোগীরা জরুরি ঔষধ কিনতে পারছে না প্রসঙ্গে ডা. নজরুল বলেন, ‘এটার বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের ক্ষমতা নেই যে বলব ওষুধের দোকান খুলতে। আমরা শুধু এটুকু বুঝিয়ে বলতে পারি, রোগীদের ওষুধ পেতে যেন কোনো সমস্যা না হয়।’