শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির তাণ্ডবে দিশেহারা মানুষ
![](http://www.europentv.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/06/06/sherpur-news-pic.jpg)
শেরপুরে ভারতীয় সীমান্তঘেষা তিন উপজেলায় বন্যহাতির তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। এই তিন উপজেলা হচ্ছে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী। এই উপজেলাগুলোর গারোপাহাড়ঘেষা লোকালয়ের মানুষকে দিন-রাতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে বন্যহাতির সঙ্গে।
এক সপ্তাহ ধরে বন্যহাতির একটি পাল নালিতাবাড়ী উপজেলার বাতকুচি ও বুরুঙ্গা এলাকায়। দুপুরের পরই দলবেঁধে হাতিরা নেমে আসে লোকালয়ে। চড়াও হয় ধানক্ষেত, সবজি ও ফলের বাগানে। কখনও কখনও ঘরবাড়িতেও হামলা চালায় দলটি। বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল নষ্ট করেছে বন্যহাতির দল। মানুষের ঘরবাড়িও আক্রান্ত হয়েছে। এক সপ্তাহে কোনো মানুষের মৃত্যু না হলেও হাতি তাড়াতে গিয়ে আহত হয়েছে কেউ কেউ। কিছুদিন আগে সমশ্চুড়ার বিজয় সাংমা মারা গেছেন হাতির পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে।
গত কয়েকদিনে বন্যহাতির তাণ্ডবে ঘরছাড়া হয়েছেন জসিম উদ্দিন ও মালেকা খাতুন। তাদের সবজি বাগান ও মৎস্য খামারেও তাণ্ডব চালিয়েছে এই হাতির পাল। এরই মধ্যে নালিতাবাড়ীর পর্যটনকেন্দ্র মধুটিলা ইকোপার্কেও তাণ্ডব চালিয়েছে হাতির পালটি।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছে, প্রশাসনের তরফ থেকে হাতির তাণ্ডব বন্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাদের কার্যক্রম মূলত মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বনবিভাগের মধটিলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যহাতির পাল প্রায়ই লোকালয়ে নেমে আসছে। এতে মানুষের ক্ষেত-খামার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। আমাদের পক্ষে শুধু নিহত ও আহতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হয়। আর ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য এলাকাবাসীর সঙ্গে মিলে আমরা নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’