অবশেষে চালু হচ্ছে ফেনী সদর হাসপাতালের নতুন ভবন
![](http://www.europentv.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/14/photo-1423918683.jpg)
নির্মাণের সাড়ে চার বছর পর অবশেষে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ফেনী সদর হাসপাতালের নতুন ভবন। আজ শনিবার ভবনটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হতে পারে।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. অসীম কুমার সাহা জানান, নতুন ভবনে আজ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ফেনী জেলা স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন হাজারীর তৎপরতায় এটা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২০০৫ সালে ফেনী ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ঠিকাদারের গাফিলতি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে নির্মাণের পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও ভবনটি হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে রোগীদের চিকিৎসার কাজে ভবনটি ব্যবহার করা যায়নি। ১০০ শয্যার সেই পুরোনো ভবনেই চলছে চিকিৎসার কাজ।
ফেনী সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই হাসপাতালে ফেনী জেলা ছাড়াও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, নোয়াখালীর সেনবাগ, চট্টগ্রামের মীরসরাই, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে প্রতিদিন অন্তত এক হাজার মানুষ চিকিৎসাসেবা নেন।
অব্যাহত রোগীর চাপ সামলাতে সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসাসেবা চালাতে ২০০৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়ে যায় এবং ঠিকাদারকে ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। এর পর থেকে ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে আর বাকি কাজ শেষ হয়নি। বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় নতুন ভবন হস্তান্তর করা যাচ্ছিল না। ফলে হাসপাতালে লাগানো শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, বৈদ্যুতিক লাইনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। অন্যদিকে পুরোনো ভবনে স্থান সংকুলানের অভাবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে।
আরএমও অসীম কুমার সাহা জানান, ফেনী সদর হাসপাতালের নতুন ভবনটি দ্রুত খুলে দেওয়া হলে ফেনী জেলাসহ পাশের তিন জেলার কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সহজ হবে বলে আশা করছেন সাধারণ মানুষ। এতে চিকিৎসাব্যবস্থায় গতি যেমন আসবে, তেমনি চিকিৎসাসেবার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ পাবেন রোগীরা।