বাগদাদির বোন আটক, দাবি তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর
![](http://www.europentv.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/11/05/baghdadi-sis.jpg)
সিরিয়ায় মার্কিন অভিযানের সময় আত্মঘাতী হওয়া জঙ্গি সংগঠন তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির বোনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল সোমবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহর আজাজ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এ ছাড়া তাঁর স্বামী ও পুত্রবধূকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আটক বাগদাদির বোনের নাম রাসমিয়া আওয়াদ (৬৫)। আটক করার সময় তাঁর পাঁচ সন্তানও সঙ্গে ছিল।
তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, বাগদাদির বোনের মাধ্যমে আমরা আইএসের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে পারব।’
এরই মধ্যে বাগদাদির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে আইএস। সেইসঙ্গে নতুন প্রধানের নামও ঘোষণা করেছে তারা। এখন থেকে আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল-কুরাইশি আইএস প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। মেসেজিং সার্ভিস টেলিগ্রামের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আইএস এ খবর জানায়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর নিশ্চিত করেছে।
![](http://www.europentv.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/11/05/baghdadi-2-sis.jpg)
বিবৃতিতে আইএসের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, আল-কুরাইশি একজন প্রবীণ যোদ্ধা। তিনি এর আগে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধও করেছিলেন। এ ছাড়া তাঁকে নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বংশধর বলেও দাবি করা হয়।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর মার্কিন বাহিনীর অভিযানে সিরিয়ার একটি গোপন আস্তানায় আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এক ঘোষণায় এমন দাবি করেন।
মার্কিন বাহিনী দাবি করেছিল, অভিযানের সময় ধরা না দিয়ে আত্মঘাতী হন বাগদাদি। এরপর তাঁর লাশ সাগরে সমাহিত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। তবে কখন ও সমুদ্রের কোথায় লাশটি সমাহিত করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। পেন্টাগন সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
এর আগে পাকিস্তানে ২০১১ সালে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন অভিযানের সময় নিহত হন বলে দাবি করেছিল তৎকালীন মার্কিন বাহিনী। এর পর লাদেনের লাশ নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। ওই সময় লাদেনের লাশও সমুদ্রে সমাহিত করার দাবি করেছিল মার্কিন বাহিনী।
মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি দাবি করেন, ‘মার্কিন সামরিক বাহিনীর নিয়মানুসারে তাঁর লাশ যথাযথভাবে সমাহিত করা হয়েছে।’