হবিগঞ্জের সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামে একটি জায়গার বিরোধ নিয়ে আশপাশের দুটি ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এ সময় শতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদ, স্কুলসহ ২০টি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রাজিউড়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ৯২ শতক সরকারি খাসজমি নিয়ে গ্রামের সফিক মিয়ার সাথে নিজামপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাটাখালী গ্রামের জলফু মিয়া ও হারুন মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ জমি সফিক মিয়ার নামে রেকর্ডভুক্ত। তিনি ওই জমি দখলে রাখেন এবং পাঁচ বছর আগে থেকে সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন।

সকালে এই মসজিদের কাজ চলার সময় জলফু মিয়ার লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে স্থানীয় মুরুব্বিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

কিন্তু জুমার নামাজের সময় জলফু মিয়ার লোকজন মিছিল নিয়ে মসজিদে এসে আক্রমণ করলে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয় এবং পরে তা নিতাইর চক, পূর্ব কাটাখালী, কান্দিগাঁও, জয়রামপুর, দরিয়াপুর, তেলিখাল ও রতনপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে জানান, উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল বাহারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে দাঙ্গা পুলিশ আটটি গুলি ও দুটি কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ৫০ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।